Subscribe Us

header ads

আজ থেকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র হবে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামও



হাওড়ার ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করার কাজ শুরু হল। জেলা প্রশাসন ও হাওড়া পুরসভার যৌথ উদ্যোগে আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই ১৫০ শয্যার কোয়রান্টিন কেন্দ্রটি চালু হয়ে যাবে। পাশাপাশি, 
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কায় সত্যবালা আইডি হাসপাতালের পুরোটাই আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা করা হল এ দিন। এর আগে মেল ওয়ার্ডের সাতটি শয্যা করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল। এ দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসা এক ব্যক্তিকে 
করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে সত্যবালা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সত্যবালা আইডি এবং হাওড়া জেলা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হলেও হাওড়ায় কোনও কোয়রান্টিন কেন্দ্র ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয়ে পড়ে থাকা ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে তাই 
কোয়রান্টিন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই শয্যা-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেডিয়ামের ভিতরে খেলোয়াড়দের বিশ্রামের যে বড় বড় ঘর রয়েছে সেখানেই কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা 
করা হচ্ছে। 
হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল সেখানে পরিদর্শনে যায়। পরে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে স্টেডিয়ামটি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকায় জীবাণুনাশকের কাজ ভাল করে করতে হচ্ছে। দেখে নেওয়া হচ্ছে, পর্যাপ্ত পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা রয়েছে কি না। এই কোয়রান্টিন কেন্দ্রে বিদেশ থেকে আসা বিমানযাত্রীদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা কোয়রান্টিনে থাকবেন, তাঁদের সকাল থেকে রাত 
পর্যন্ত খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও সেখানে করা হচ্ছে।
হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য এ দিন বলেন, ‘‘ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র করার প্রস্তাব কয়েক দিন আগেই এসেছে। প্রস্তুতিও প্রায় শেষের মুখে।’’
এ দিন সকালে সত্যবালা আইডি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা মধ্য হাওড়ার বিধায়ক অরূপ রায়। তিনি জানান, আন্ত্রিক-সহ জল ও মশাবাহিত রোগের জন্য টিএল জয়সওয়াল হাসপাতাল ও হাওড়া জেলা হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে এ দিন পথচারীদের হাওড়া বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, হাওড়া স্টেশন চত্বরে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়। লঞ্চঘাটগুলিতেও যাত্রীদের হাতে স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়। সারাক্ষণ মাইকে করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতামূলক বার্তা দেওয়া হয়।

Post a Comment

0 Comments